এ এক অতি সাহসী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবুও কিছু প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এঁকে যে নাম ই দিয়ে থাক না কেন এর গুরুত্ব অপরিসীম।
গত রাত্রে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বারা ৫০০ ও ১০০০ নোট বাতিল এর ঘোষণার পর ভারতবর্ষ জুড়ে যেন ভূমিকম্প হয়েগেল। এটা হবারই ছিল। যারা একটু আধটু কান পেতে রাখে তারা জানতো এটা হবারই ছিল তবে এতো সাততাড়াতাড়ি হবে সেটা কল্পনার বাইরে ছিল। সেখানেই প্রশ্ন।

আসলে বিগত পাঁচ মাস আগে সকল লোকসভা ও রাজ্যসভা প্রতিনিধিদের কাছে নির্দেশ ছিল তাদের নিজেদের এলাকাতে ৫০০ ও ১০০০ এর নোটের খরচ বন্ধ করতে। তখনি কানাঘুষো চলছিল। এটা আসলে দেখা গেলো ট্রায়াল রান। তবে ধুরন্ধর লোকেরা ভেবেছিলো আগামী নির্বাচন এর সময় ইটা প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু সরকার উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের চাপে এখনই ঘোষণা করতে বাধ্য হলো।
কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন :
১) মার্কেট থেকে যে বিপুল পরিমান টাকা (প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা) বাজার থেকে হটাৎ গায়েব হলো তা ভরপাই হবে কি করে?
২) দুম করে ঘোষণায় সরকারি লোকসান যে প্রচুর হলো সমপরিমাণ কালোটাকা কি উদ্ধার করতে সক্ষম হবে সরকার? এতে সরকার কত শতাংশ লাভ/লোকসান প্রত্যাশা করছে?
৩) সাধারণ লোকের কাছে দু দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন দুধ, পাউরুটি, ওষুধ, সবজি, ইত্যাদি) কেনবার মতো অর্থের যোগান না থাকায় ভোগান্তির কথা মাথায় রাখা হয়নি কেন? দুধ বিক্রেতা কি আর চেকে পেমেন্ট নেবে? এক কিলো আলু কিনে কি paytm না imps এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেবে?
৪) নেতাদের বিগত পাঁচ মাসে কালোটাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সুযোগ দেওয়া হলো কেন? রাজনৈতিক স্বার্থ বজায় রাখতে? চোর চোর মোসেরি ভাই? তুমি খাও আমি খাই / সাধারণের পিষে মাড়াই?
৫) যাদের কাছে সত্যি কালো টাকা আছে তারা হয় জমি না হয় সোনাদানা কিনে কনভার্ট করে রেখেছে। সেগুলো উদ্ধার করার কোনো পরিকল্পনা? সরকার কি পারবে মুলায়ম বা মায়াবতীর থেকে কালো টাকা উদ্ধার করতে? আছে এতো সৎসাহস?
৬) ২০০০ এর নোটের কি সত্যি প্রয়োজন? উন্নত দেশে এতবড়ো ডিনোমিনেশন এর চলন নেই। আমেরিকা তে ১০০ ডলার ও ব্রিটেন এ ৫০ পাউন্ড এর বেশি মুদ্রার চলন নেই। এদেশেও কি প্রয়োজন আছে? এটা কি আবার কালোটাকা তৈরী করার রাস্তা খুলেদেওয়া হলো না?
৭) সরকার জানাচ্ছে নতুন ৫০০ ও ২০০০ এর নোটে ট্র্যাকিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ মানুষের এতে সুবিধা কি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন